ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকারি চাকরি আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল কালো টাকা সাদা করার বিধান সংস্কারের সম্পূর্ণ বিপরীত-টিআইবি দূরত্ব ঘুচিয়ে চমৎকার জুলাই সনদ তৈরির প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার সারাদেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি টেকসই অর্থনীতির বাজেট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু বিজিএমইএ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ‘ফোরাম’ প্যানেল বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা

তারাগঞ্জের হাতখোপা বিল প্রভাবশালীদের দখলে

  • আপলোড সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন
তারাগঞ্জের হাতখোপা বিল প্রভাবশালীদের দখলে
রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সরকারি জলাশয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জলাশয় হাতখোপার বিল।
প্রতিবছর ইজারা দিয়ে বিলটি থেকে খাস আদায় হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে কয়েক বছর ধরে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিলটি এক প্রভাবশালী নেতা সাব ইজারার নামে বাগিয়ে নেওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে জটিলতা। মামলার নামে বিলটি বে-দখলে রাখার কারণে স্থানীয় প্রশাসন খাস আদায় করতে পারছে না।
এতে রাষ্ট্র হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। জানা যায়, প্রায় ২৫ একর খাস জমির জলাশয় টি সর্বশেষ ১৪২৯-১৪৩৪ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত মোট ছয় বছরের জন্য হাতখোপা বিলটি ইজারা নেয় তারাগঞ্জ উপজেলার নারায়ঞ্জন জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি আরো বেশি অর্থের বিনিময়ে সাব ইজারা দেয় নজরুল ইসলাম নামক রংপুরের এক প্রভাবশালী নেতাকে। ইজারা নেওয়ার পর এক বছরের আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধ করে সরকারি নিয়ম মেনে বিলটি ভোগ দখল করেন ওই ইজারাদার। এরপর সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিলটি ভোগ দখলের উদ্দেশ্যে ওই মৎস্যজীবী সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের আঁতাত হয়। তারই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সমিতির সভাপতি ইজারা প্রত্যাহার চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সভাপতির আবেদনের ভিত্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে খাস আদায়ের নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা প্রকাশ হওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সমিতির অন্যান্য সদস্যরা খাস আদায়ের নির্দেশনা বাতিল ও তাদের ইজারা পুনঃ বহাল চেয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার শুনানির পর উভয়পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে আদেশ দেন। আদেশের বলে প্রথমে ৩ মাস ভোগদখল করেন। এরপর একাধিকবার আবেদন করে মেয়াদ বৃদ্ধি করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিলটি দখলে রেখেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিলটির খনন কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। বিলটিকে ইজারাদারের নিয়োগকৃত ছয় জন পাহারাদার দিবারাত্রি পাহারায় নিয়োজিত আছেন। তাদের ভয়ে বিলের আশপাশে ঘেঁসতে পারে না স্থানীয় সাধারণ মানুষ। জটিলতা কাটিয়ে বিলের খাস আদায়ের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা শুরু না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য বিলটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য